ঢাকা,সোমবার, ৬ মে ২০২৪

চট্টগ্রামে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষ, থানায় আক্রমণ

অনলাইন ডেস্ক :: চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশ ও হেফাজতে ইসলামের কর্মী হিসেবে পরিচিত মাদরাসা ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মাদরাসা ছাত্ররা আকস্মিকভাবে থানায় আক্রমণ করলে পুলিশ গুলি চালিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে। এ ঘটনার পর ছাত্ররা মাদরাসার সামনে অবস্থান নিয়ে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুরে হাটহাজারী উপজেলায় দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছে বলে দাবি হেফাজত নেতাদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে মিছিল নিয়ে হাজারখানেক ছাত্র আনুমানিক ৫০০ মিটার দূরে থানার সামনে যায়। তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। তবে মাদরাসার মাইক থেকে তাদের ফেরত যেতে বলা হচ্ছিল।

কিন্তু ছাত্ররা থানার সামনে গিয়ে হঠাৎ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। থানার সামনে লাগানো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। ছাত্রদের ছোঁড়া ইট-পাথরের টুকরায় থানার সামনের কাচের দরজা ভেঙে যায়। বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ প্রথমে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এরপর পুলিশ ও হেফাজত কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ আরও কয়েক রাউন্ড হুলি ছোঁড়ার পর ছাত্ররা পিছু হটে।

তারা মাদরাসার মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। পুলিশ থানার সামনে অবস্থান নিয়েছে।

জানতে চাইলে চট্টগ্রামের হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘হঠাৎ থানায় হামলা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।’

জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকায় বায়তুল মোকাররমে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এর প্রতিবাদে ছাত্ররা মিছিল বের করলে পুলিশ গুলি করেছে। আমাদের বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছে। ২-৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

মাদরাসার মহাপরিচালক হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারী ইনাম উর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) হেফাজতে ইসলামের পূর্বনিধারিত কোনো কর্মসূচি ছিল না। ছাত্ররা কেন মিছিল বের করেছে সেটা আমি জানি না। শুনেছি, পুলিশ মিছিলে গুলি করেছে। এতে দুজন আহত হয়েছে।’

পাঠকের মতামত: